বর্ষায় ঘুরে আসুন পশ্চিমবঙ্গের এই ১০টি জায়গা

পশ্চিমবঙ্গে বর্ষায় ঘোরার মতো জায়গাগুলির কথা বলতে গেলে সবার প্রথমেই বলতে হয় সমুদ্র সৈকতের কথা। তবে দিঘা সৈকতের কথা বলব না। দিঘা তে প্রায় সব ঋতুতেই  ভীর থাকে। তাই এখানে  বাংলার এমন কিছু সৈকতের কথা বলব যা কিছুটা নির্জন ও তাদের নিজস্ব সৌন্দর্যের কারণে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

১. প্রথমেই আসি শঙ্করপুর সৈকতের কথায়

শঙ্করপুর সৈকত












নির্জনতার আরেক নাম শঙ্করপুর সৈকত। দিঘা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে। শঙ্করপুরের দু’টো চেহারা। একটা নিরিবিলি সৈকত, আরেকটা ব্যস্ততায় সরগরম শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরেএখনও ঝাউবীথির দেখা মেলে শঙ্করপুরে। আছে কেয়া ঝোপও। বালিয়াড়ির ঢাল বেয়ে নেমে যাওয়া যায় প্রশস্ত বিচে। শক্ত মাটির নির্জন বিচ ছোটদের খেলাধুলোর পক্ষে আদর্শ। নীল সমুদ্র হাতছানি দেয়। পায়ে পায়ে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে সমুদ্র অবগাহন করতে

কীভাবে যাবেন- দিঘা-কলকাতা সড়কপথে ৮ কিলোমিটার দূরে রামনগর। আরও কিছুটা এগিয়ে চোদ্দমাইল। সেখান থেকে চম্পাখালকে ডান হাতে রেখে  ৪ কিমি পরেই শঙ্করপুর। এখান থেকে পথ দু’ভাগ, ডান দিকের পথে গেলে মৎস্যবন্দর, আর বাঁ দিকের পথ নির্জন শঙ্করপুর সৈকত।


২. মন্দারমণি সমুদ্র সৈকত

মন্দারমণি সমুদ্র সৈকত











দিঘা সৈকত থেকে মাত্র ৩০ কিমি দূরে নির্জনতার ঠিকানা ছিল মন্দারমণি। এখন বর্তমান প্রজন্মের হার্টথ্রব। তাই বাড়ছে ভিড়, হারিয়ে গিয়ছে আগের নির্জনতা। সৈকতের গা ঘেঁষে একের পর এক গড়ে উঠেছে বেসরকারি হোটেল। বেলাভূমি জুড়ে যেন মেলা বসে। রয়েছে বিনোদনের, খাওয়া-দাওয়ার বিশাল আয়োজন। সামুদ্রিক মাছের নানা আইটেম জিভে জল এনে দেয় ।

কীভাবে যাবেন- কলকাতা থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে মন্দারমনি সৈকতে গাড়ি, বাস, ও ট্রেন তিন ভাবেই যাওয়া যায়। বাসে করে গেলে ধর্মতলা থেকে দিঘা গামী বাসে নামতে হবে চাউলখোলা। সেখান থেকে অটো, ভ্যান বা রিক্সা তে সোজা মন্দারমনি। আর ট্রেনে যেতে হলে হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে নামতে হবে রামনগর  বা কাথি স্টেশন। তারপর অটো, ভ্যান বা রিক্সা তে যাওয়া যাবে মন্দারমনি।


৩. তাজপুর সমুদ্র সৈকত

তাজপুর সমুদ্র সৈকত












এখনও নির্জনতা ধরে রেখেছে তাজপুর। তবে কত দিন ধরে রাখতে পারবে সন্দেহ আছে। যতই নাম ছড়িয়ে পড়ছে তাজপুরের ততই গজিয়ে উঠছে হোটেল। তবে একেবারে সৈকতের গা লাগিয়ে নয়, কিছুটা দূরেই গড়ে উঠছে হোটেল-রিসর্ট। তাই হোটেল সমুদ্রের মাঝে সবুজের সমাহার। তটভূমি ছোঁয়ার আগে পথ করে নিতে হয় কেয়াঝোপ আর ঝাউবীথির মধ্য দিয়ে। ভাঙতে হয় বালিয়াড়ি। এটাই মজার তাজপুরের। বরষার সমুদ্র কেমন মায়াময় তাজপুরে। দেখা মিলবে নানা পাখির। রাতে শোনা যাবে নানা রাতচরা পাখিদের কিংবা শেয়ালের ডাক।

কীভাবে যাবেন- দিঘা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বালিসাই। সেখান থেকে ৩ কিমি দূরেই  তাজপুর। ওই ৩ কিমি পথে কোনও বসতি নেই। চোখে পড়বে নুন তৈরির প্রকল্প। সমুদ্রের জল ঘিরে রেখে কী ভাবে নুন তৈরি হয় দেখা যাবে। তাই থেকে ভালো হয় নিজস্ব গাড়ি করে এলে। যদিও বাসে বা ট্রেনে করেও আসা যায় সেক্ষেত্রে ধর্মতলা থেকে দিঘা গামী বাসে বালিসাই মোড়ে নেমে ভাড়া করা গাড়ি বা রিক্সা করে যেতে হবে। আর ট্রেনে আসলে হাওড়া থেকে রামনগর স্টেশন এ নেমে একইভাবে ভ্যান বা রিক্সাতে পৌছনো যায় তাজপুর।


৪. বকখালি

বকখালির সাগরতট 












নির্জন  সমুদ্র উপকূল আর ঝাউগাছের বনানীবেষ্টিত বকখালির সাগরতট ভ্রমণপিপাসুদের বরাবরই আকর্ষণীয়। এছাড়াও বকখালি সমুদ্র সৈকত লালকাঁকড়ার জন্যে বিখ্যাতবর্ষায় কাঁকড়ার সংখ্যাও অনেক বেড়ে যায়, আর বালির ওপর ঝাঁক বেধে যখন হেঁটে বেড়ায় দেখে মনে হবে সদা বালিয়াড়িতে কেও লাল গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে।

কীভাবে যাবেন- কলকাতার সঙ্গে বকখালি সড়কপথে যুক্ত৷ কলকাতা থেকে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পথে বা রেলপথে নামখানা পযর্ন্ত গিয়ে সেখান থেকে অথবা কলকাতা থেকে সরাসরি বাসযোগে বকখালি যাওয়া যায়। যাওয়ার পথে হাতানিয়া দোহানিয়া নদী পড়ে। এখানে বার্জ যোগে ভারী যান পরিবহন ব্যবস্থা আছে তাই নিজস্ব গাড়িতেও সহজে যাওয়া যায়। বকখালিতে পর্যটকদের জন্য একাধিক হোটেল আছে।

৫.ঝাড়গ্রাম

পশ্চিমবঙ্গ- ঝাড়খণ্ড সীমান্তের জেলা ঝারগ্রাম বর্ষায় যেন স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠে। শালগাছগুলি ভরে ওঠে নতুন পাতায়। বেলপাহাড়ির জঙ্গল, ছবির মতো সুন্দর গ্রাম কাঁকড়াঝোড়, আর কেটকি ঝরনা সব মিলিয়ে যেন এক রূপকথার দেশ।
দর্শনীয় স্থান

চিলকিগড় কনক দুর্গা মন্দির

ঝাড়্গ্রামের শহর থেকে ১৮ কিমি পশ্চিমে এক সুরম্য অরণ্যাণীর মধ্যে চিল্কিগড়ের কনকদূর্গা মন্দির । বহু ইতিহাস মন্দিরের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ।লোকালয় বর্জিত মন্দিরের চারিদিকে ৩৬৫ প্রজাতির বৃক্ষ ও লতাগুল্ম রয়েছে ।বর্তমানে এটি জেলার একটি বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র । দেবীর স্বপ্নদৃষ্ট হয়ে ১৭৪৯ সালে তৎকালীন রাজা গোপীনাথ সিংহ মওগজ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন । একই সুঙ্গে পাহাড়ি নদী ডুলুং পার হয়ে চিল্কিগড় রাজবাড়ী ঘুরে দেখা যাবে।
এই  প্রাচীন দুলুং নদী ঝাড়গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত হয় যা উপজাতীয়দের কাছে পবিত্র।  আপনি তীরের কাছে বসে চা উপভোগ করতে পারেন। কিছুটা শান্ত সময় কাটানোর ও আরামের জন্য এটিই সেরা জায়গা।

সাবিত্রী মন্দির

ঝাড়গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরে প্রায় 350 বছর আগে নির্মিত একটি দুর্দান্ত মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরে জটিল খোদাই এবং সুন্দর স্থাপত্য রয়েছে। মল্লদেব রাজাদের কূলদেবী সাবিত্রী । বিশাল সরোবরের তীরে গম্বুজাকৃতি মন্দিরটি নয়নাভিরাম । এখানেই দেবী দূর্গার পটের মূর্তি রয়েছে ।

চিলকিগড় রাজ প্রাসাদ


চিলকিগড় রাজ প্রাসাদ

একসময় সমৃদ্ধ প্রাসাদটি এখন বেশিরভাগ জায়গা জরাজীর্ণ এবং খালি। চিলকিগড় রাজ প্রাসাদটি অবশ্যই অবশ্যই দেখতে হবে কারণ ধ্বংসস্তূপে এই জায়গাটি সৌন্দর্যে কম কিছু নয়। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শৈলীর মেলবন্ধনে কী সুন্দর স্থাপত্যের সৃষ্টি হতে পারে তা ঝাড়গ্রাম রাজ প্যালেস না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। মল্লদেব রাজাদের তৈরি এই রাজবাড়ির কিছুটা হেরিটেজ হোটেল। বেশির ভাগটায় রাজপরিবারের লোকজন থাকেন।   

ঘাঘরা

ঘাঘরা

বেলপাহাড়ি থেকে ০৭ কিলোমিটার উত্তরে কালো পাথরের গভীর গিরিখাদ , যার মধ্যে পাহাড়ি ঝর্ণা প্রবাহিত । ঘাঘরা শব্দটি গাগরা থেকে এসেছে । স্থাণীয় ভাষায় গাগরা মানে জল ভরার কলস । প্রকৃ্তপক্ষে ঘাঘরা গিরিখাদের আকার কলসির মতো । পাশেই তারাফেনি জলাধার বা ড্যাম।
এছাড়াও নিকটবর্তী, ঝারগ্রাম রাজবাড়ি, ঝিল্লির পাখিরালয়, হাতি বাড়ি, লালজল গুহা দেখবার মত।
কীভাবে যাবেন- কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার অনেক ট্রেন আছে।  সড়কপথে  কলকাতা থেকে ঝাড়্গ্রামের দূরত্ব ১৬৯ কিমি। বা গাড়ি করেও যেতে পারেন হাওড়া থেকে কোলাঘাট খড়গপুর হয়ে ঝাড়্গ্রামে পৌঁছতে সাড়ে চার ঘন্টার মতো সময় লাগে।

৬. শান্তিনিকেতন

উপাসনা গৃহ, শান্তিনিকেতন আশ্রম













বর্ষায় শান্তিনিকেতনের এক অনন্য রূপ চোখে পরার মতো। বৃষ্টির সময় শান্তিনিকেতন আশ্রম গেলেই  উপলব্ধি করতে পারবেন কেন রবীন্দ্রনাথ কেবল বর্ষা নিয়েই কয়েকশো কবিতা রচনা করেছেন। বর্ষায় শান্তিনিকেতন যেন রঙ্গিন হয়ে ওঠে, তাছাড়া কোপাই নদীও তখন জলে ভরপুর। সারাবছর সরু রেখায় বয়েচলা কোপাইের বর্ষার সময়ের এই রূপ চাক্ষুস করতে হলে আপনাকে আসতেই হবে বোলপুরে। সাথে শান্তিনিকেতন আশ্রম আর বিশ্বভারতী তো দেখতেই পারেন।


সোনাঝুরির বন, শনিবারের হাট


এছাড়াও দেখতে পারেন সোনাঝুরির বন, শনিবারের হাট, সাঁওতাল গ্রাম  আর বল্লভপুর অভয়ারন্য। কাছেই রয়েছে কাঙ্কালিতলা মন্দির
কাঙ্কালিতলা মন্দিরটি বোলপুর থেকে ১০ ​​কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই মন্দিরটি সতীর ৫১ টি শক্তিপীঠগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। এই মন্দিরটি তে সারা বছর প্রচুর সংখ্যক লোক দর্শন করতে আসে। শান্তিনিকেতন আসলে এই মন্দির অবশ্যই দর্শনীয়
কীভাবে যাবেন- কলকাতা থেকে জাতীয় সরক১৯ ধরে, বা হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে বোলপুর, শান্তিনিকেতন কেবল ৩ ঘণ্টায় পয়ছান যায়।


৭. বক্রেশ্বর উষ্ণপ্রস্রবণ


                বক্রেশ্বর উষ্ণপ্রস্রবণ













এই বর্ষায় ঘুরে আসতেই পারেন বক্রেশ্বর উষ্ণপ্রস্রবণে। ঘুরে দেখতে পারেন বক্রেশ্বরের প্রাচীন শিব মন্দিরটিও। বক্রেশ্বর, শান্তিনিকেতন থেকে খুব একটা দূরে নয়। তাই একই সাথে ঘুরে আসার পরিকল্পনা করেতেই পারেন।

শান্তিনিকেতন থেকে সড়ক পথে ইলামবাজার, ও দুবরাজপুর হয়ে বক্রেশ্বর পৌছনো যায়। মোটামুটি ১.৩০ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।


৮. ইলিশ ঘাটি - ডায়মন্ড হারবার


ইলিশ ঘাটি ডায়মন্ড হারবার

বাঙালির বর্ষা মানেই ইলিশ মাছ, আর বঙ্গের সেই ইলিশ ঘাটি হল ডায়মন্ড হারবার। তাই টাটকা ইলিশের স্বাদ নিতে আসতেই পারেন ডায়মন্ড হারবারে। এখানে গঙ্গার বিস্তৃত রূপ দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যাবে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে করতে পারেন গঙ্গাবিহারও।
কলকাতা থেকে গাড়িতে ডায়মন্ডহারবার কেবল ৩ ঘণ্টার দূরত্ব।

৯. মাইথন

মাইথন ড্যাম 














পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খণ্ড সীমানায় বরাকর নদের উপর ১৫৭১২ ফুট দীর্ঘ ১৬৫ ফুট উঁচু ডিভিসির বাঁধ, ৬৬ বর্গ কিমি জুড়ে জলাধার। আশেপাশে অজস্র পাহাড়  লেককে ঘিরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। ইচ্ছে হলে লেকে বোটিং করতে করতে মনোরম সূর্যাস্ত অবলোকন করুন।
বাঁধের নীচে পাহাড়ের ১৩৫ ফুট অন্দরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ডিভিসির পিআরও- অনুমোদন নিয়ে দেখে আসা যায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। বাঁধের নীচে রয়েছে ডিয়ার পার্কও। রয়েছে জলাধারের মাঝে দ্বীপের উপর ডিভিসির অতিথিভবনমজুমদার নিবাস
কাছেই হ্যাংলা পাহাড়ে ৫০০ বছরের প্রাচীন কল্যাণেশ্বরী মাতার মন্দির। ইচ্ছে হলে ঘুরে আসুন ১৬ কিমি দূরে ডিভিসির আরেক বাঁধ পাঞ্চেত ড্যাম, পাঞ্চেত পাহাড় গড়পঞ্চকোট।


গড়পঞ্চকোট 

গড়পঞ্চকোট ছিল পঞ্চকোট রাজাদের রাজধানী। মাথা উঁচু দাঁড়িয়ে থাকা পঞ্চকোট মন্দির এবং অজস্র স্থাপত্য সেকথা নীরবে প্রমাণ দিয়ে যায়। মন্দিরে কোনও দেবদেবীর মূর্তি নেই। যা পঞ্চতন্ত্র বা পঞ্চরত্ন মন্দির নামে পরিচিত। 

কীভাবে যাবেন- সড়কপথে কলকাতা থেকে মাইথন ২৩৪ কিলোমিটার। সময় লাগবে ঘণ্টা। এছাড়াও রয়েছে ট্রেন। নিজস্ব গাড়ি না থাকলে ট্রেন হতে পারে যাতায়াতের সেরা মাধ্যম। ট্রেনে গেলে নেমে পড়ুন বরাকর বা কুমারডুবি স্টেশনে। সেখান থেকে অটো বা গাড়ি ভাড়া পাবেন মাইথনে যাওয়ার জন্য। কুমারডুবি থেকে মাইথনের দূরত্ব কিলোমিটার। বরাকর থেকে মাইথনের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার।


১০উত্তর বঙ্গের ডুয়ার্স


ডুয়ার্স














অনেকেই বর্ষার সময় পাহাড়ে যেতে চান না, তাছাড়া বর্ষার মরসুমের তিনমাস ডুয়ার্সের জঙ্গল গুলি বন্ধই থাকে। তাই বর্ষা  ডুয়ার্সের অফ সিজিন বলা চলে। কিন্তু ডুয়ার্সের আসল সৌন্দর্য দেখতে হলে বর্ষার তুলনা নেই। বৃষ্টি সিক্ত ডুয়ার্সের সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ চোখ জুড়িয়ে দেবে। অন্য সময়ের মতো ভিড়ভাট্টা থাকে না একদম, তার ওপর হোটেল গুলিতেও পেতে পারেন বিশেষ ছাড়। কাছেই রয়েছে লাটাগুরি আর চালসা সেগুলিও ঘুরে দেখতে পারেন।

কীভাবে যাবেন- শিলিগুড়ি হয়ে গাড়িতে যাওয়া যায়। ছাড়া ট্রেনে করে গেলে নিউ মাল জংশনে নেমে সেখান থেকেও গাড়ি নিতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ